কার্লোস তুসকেতস তাহলে তাঁর পক্ষে আরেকজনকে পেলেন! জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ পদত্যাগ করার পর অন্তর্বর্তীকালে বার্সেলোনা যেন ঠিকঠাক চলতে পারে, সে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তুসকেতসকে। দায়িত্ব পেয়ে কোথায় ঘর সামলে রাখবেন, তা নয় উল্টো ঝড় তুলে দিয়েছেন তুসকেতস। বলেছেন, আর্থিক দিক থেকে মেসিকে ধরে রাখাটা বড় ভুল ছিল বার্সার।
আগামী ২৪ জানুয়ারি নির্বাচন। ক্লাবের পরবর্তী সভাপতি হওয়ার দৌড়ে আছেন অনেকে। এর মধ্যে হুয়ান লাপোর্তা তো মেসির বেতন কমানোর কথা শুনতেই রাজি নন, পারলে আরও বেশি বেতন দিতে চান সাবেক সভাপতি। আরেক সভাপতি প্রার্থী ভিক্তর ফন্তও মেসির জন্য সব ছাড় দিতে রাজি। কিন্তু এমিলি রুশো সোজাসাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করেন। সরাসরি বলেই দিয়েছেন, যদি বেতন কমাতে রাজি না হন, তাহলে মেসিকে বার্সেলোনা ছাড়তেই হবে
মেসিকে গত দলবদলে বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় আর্থিক দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছে বার্সেলোনা। মেসিকে বিক্রি করে সম্ভাব্য আয়ের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতনভোগী ফুটবলারের জন্য সাত কোটি ইউরোর বেশি খরচটা বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। আর মৌসুম শেষে শর্তানুযায়ী আনুগত্য ভাতাও দিতে হবে মেসিকে। সে জন্য বার্সেলোনাকে খরচ করতে হবে আরও ৩ কোটি ৩০ লাখ ইউরো।
বার্সেলোনার আর্থিক যে পরিস্থিতি, তাতে সে বোনাস কীভাবে দেওয়া হবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন জাগতেই পারে। তুসকেতস তো জানিয়েই দিয়েছেন, পুরো স্কোয়াড বেতন কমাতে রাজি না হলে জানুয়ারিতে কারও বেতন দেওয়াই সম্ভব হবে না বার্সার। এমনকি দেউলিয়াও ঘোষণা করতে হতে পারে। স্বস্তির বিষয়, ক্লাবের এ দুর্দশায় বেতন কমানোর ক্ষেত্রে সবার মধ্যেই ইতিবাচক সাড়া দেখা গেছে।
আগামী নির্বাচন উপলক্ষে বোর্ডের সদস্যদের ভোট আদায় করতে সব প্রার্থীই একটি পথ বেছে নিয়েছেন। আর সেটা হলো মেসিকে তুষ্ট করে ক্লাবে ধরে রাখবেন কীভাবে, সে উপায় বাতলানো। এর জন্য মেসির বেতন কমানোর বিষয় নিয়ে তাঁরা আলোচনা করছেনই না। অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কথা বলে ভোটারদের বিরাগভাজন হতে চান না কেউই।