আইকন নিউজ ডেস্কঃ
৫নং পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির উদ্দোগে, আজ রবিবার সকাল ৭টা থেকে সাধারণ ধর্মঘট পালন করা হয়েছে। উখিয়া উপজেলার সর্ববৃহৎ রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা পালংখালী ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় অধিবাসীদের ন্যায্য অধিকার, দাবি-দাওয়া আদায় ও বাস্তবায়নের লক্ষে ৫নং পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে বৃহৎ পরিসরে ধর্মঘট পালন করা হয়। পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে রবিবারের এই ধর্মঘটে স্থানীয় শত শত শিক্ষিত বেকার যুব সমাজের পাশাপাশি, বিভিন্ন স্তরের ভুক্তভোগী মানুষ দলে দলে অংশগ্রহণ করেন। তারা সকাল থেকে কাফনের কাপড় পড়ে সড়কে অবস্থান নেন এবং ক্যাম্প অভিমুখী প্রত্যেকটি গাড়ি যেতে বাধা প্রদান করেন এবং লোকাল বাস, সিএনজি ও অন্যান্য যাত্রীবাহী পরিবহন তল্লাশি করে এনজিও কর্মীদের ক্যাম্পে যেতে বাধা প্রদান করেন। তাদের দাবি ২৫শে আগষ্ট ২০১৭ সাল থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারের বিভিন্ন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা আসার কারণে স্থানীয়দের নানা ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে, হচ্ছে ও হবে। তারা প্রতিনিয়ত নানারকমের ভোগান্তির শিকারও হচ্ছেন। রোহিঙ্গা আসার সুযোগে দেশি-বিদেশি নানান এনজিও-আইএনজিও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এনজিও গুলো, ৭০% হোস্ট কমিউনিটির শ্বিক্ষিত যুবসমাজের জন্য চাকুরীর কৌটা বরাদ্দ থাকার কথা থাকলেও, তারা বার বার স্থানীয় শিক্ষিত সমাজকে বাদ দিয়ে বা ন্যায্য কৌটা যথাযথ পরিপূরণ না করে বা চাকরি করার সুযোগ না দিয়ে রোহিঙ্গা যুবকদের দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।তাছাড়া উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হবার সুযোগে তারা সু-কৌশলে তাদের আত্মীয় স্বজনদের বা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেস্ট কমিউনিটির জন্য চাকরির সুযোগ করে দিচ্ছে, যা রীতিমত ন্যাক্কারজনক অধ্যায় সুচিত হচ্ছে। যার কারণে হোস্ট কমিউনিটির যোগ্য শিক্ষিত সমাজ বাদ পড়ে যাচ্ছে চাকুরীর সুবিধা থেকে।
এসময় বক্তব্য রাখেন, পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দীন চৌধুরী, পালংখালীর কৃতি সন্তান ও সমাজ সেবক এডভোকেট এম এ মালেক, পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হোছাইন, তারিজুল আক্তার জুয়েল , কামাল হোসেন, এহতামিনুল হক, আব্দুল গফুর নাননু, কামাল উদ্দিন, দেলোয়ার হোসাইন বাপ্পি, মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ প্রমুখ।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৪/১৫ তে ২৮৬ জন রোহিঙ্গা চাকরি করছে। যার কারণে প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন রোহিঙ্গারা আসার কারণে স্থানীয়রা নানাবিধ সমস্যায় ভোগছেন। আর এনজিও-আইএনজিও গুলো স্থানীয়দের বাদ দিয়ে ৮০% রোহিঙ্গাদের নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রধান দাবী হল রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা। কিন্তু এনজিও-আইএনজিও গুলো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করার চিন্তা না করে পূর্ণবাসন করার পায়তারা চালাচ্ছে। উপস্থিত পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা বলেন আমাদের প্রস্তাবিত দাবী মেনে না নিলে পরবর্তীতে আরো বড় ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন বলে হুসিয়ারী উচ্চারণ করেণ। রবিবার দুপুরে উখিয়া নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক বৈঠকে আগামী ১০ তারিখ পর্যন্ত এনজিওদের সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
(আইকন নিউজ টুডে/আ র/২৭/১২/২০২০)