এম আর আয়াজ রবি।
উখিয়া উপজেলা প্রশাসন ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি সনির্বন্ধ নিবেদন এই যে, গুটিকয়েক চিহ্নিত সিন্ডিকেট চক্রের হাতে পুরো বাজার ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য ব্যবস্থা জিম্মী হয়ে আছে। ওরা পবিত্র রমজান মাসকেই টার্গেট করে, সাধারণ ভোক্তাদের আঘাত দিয়ে, সর্বোচ্চ মুনাফা লাভের সকল প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকে। তাই তাদের এহেন হীন, নিকৃষ্ট মন মানসিকতার কারনে রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ কোনভাবেই করা যাচ্ছে না। তারা কারা নিশ্চয়ই আপনারা জানেন এবং সবাই আপনাদের হাতের নাগালে। তাদের খুঁটীর জোর, দাপট ও ক্ষমতা অনেক বেশি জানি। কিন্তু কোনভাবেই প্রশাসন ও সরকারের চেয়ে শক্তিশালী নয়। তারা সবাই লেবাসধারী এক একজন মানুষরুপী শয়তানের যোগ্য উত্তরসুরী! এদেরকে চিহ্নিত করে, যতদিন মূলোৎপাঠন করতে পারবেন না, ততদিন দ্রব্যমুল্যের পাগলা ঘোড়াকে সামাল দিতে পারবেন বলে মনে হয় না। প্লীজ,তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। দূর্নীতির বিরুদ্ধে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চলমান “জিরো টলারেন্স” নীতির দ্রুত বাস্তবায়ন করুণ।
দ্রব্য মুল্য যুক্তিক নিয়ন্ত্রনে রেখে, খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে এই লকডাউনে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ থেকে অন্তত বাঁচান। সাথে লকডাউনে দিনে এনে দিনে খাওয়া কর্মহীন অতি সাধারণ জনগোষ্টির পরিবারের বেঁচে থাকার ন্যুন্যতম নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করুণ।
যতটুকু জানি, সরকার অতি দারিদ্য জনগোষ্টির জন্য অন্ন, বস্ত্রের ব্যবস্থা করেছেন। সেগুলো সত্যিকার প্রান্তিক জনগোষ্টির হাতে সঠিকভাবে বন্টনের ব্যবস্থা করুণ। নচেৎ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার শত সফল প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে!
লেখকঃ সভাপতি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ( বিএমএসএফ), উখিয়া উপজেলা শাখা।