চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিতে প্রান গেল তরতাজা পাঁচটি শ্রমিকের প্রাণ। কি তাদের অপরাধ ছিল? এই রমজান মাসে ১০ঘন্টা শ্রমের বদলে ৮ ঘন্টা শ্রমের দাবী তারা জানাতেই পারে, সেটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। ইফতারের জন্য সময় চাওয়া তাদের শ্রম আইনের আওতাভুক্ত। দেশীয় ও ইন্টারন্যাশনাল লেবার ল সেটা নিশ্চয়ই পারমিট করে। শ্রমিক তাদের ন্যায্য দাবি দাওয়ার আবদার, আবেদন করতেই পারেন। বাংলাদেশের শ্রম আইনে ৮ ঘন্টা শ্রমের কথা উল্লেখ আছে। এর উপরে শ্রম দিলে তার জন্য অভার টাইমের ব্যবস্থাও আছে। স্বাধীন দেশে শ্রমিক, মেহনতি মানুষ তাদের ন্যায্য দাবি জানাতে পারবে না? শ্রমিকরা কি প্রজাতন্ত্রের মাল্কক নয়? প্রজাতন্ত্রের মালিক বা নাগরিক হিসেবে তাদের দাবী দাওয়া জানানোর অধিকার তো আর খর্ব হয়ে যায়নি?
কোন অধিকারে, কোন অপরাধে পাঁচজন শ্রমিককে পাখির মত গুলি করে হত্যা করা হল? এর পেছনে হত্যাকারীদের নিশ্চয়ই কোন দুরভিসন্ধিমূলক কোন পরিকল্পনা ছিল! আর তা নিশ্চয়ই সরকারের অগ্রযাত্রাকে বা উন্নয়ন, অগ্রগতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অশুভ লক্ষণ! অন্যথায় তরতাজা পাঁচজন শ্রমিককে পাখির মতো গুলি করে মারার অর্থ কি দাড়াতে পারে? তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা এখন সময়ের সেরা দাবি। একটা স্বাধীন দেশে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা কেউ মেনে নিতে পারেনা। আমরা উক্ত ঘটনার সুষ্ট বিচার দাবি করছি। নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ও ন্যায্য ক্ষতিপূরন প্রদান পূর্বক দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হোক।
আইকন নিউজ টুডে/আর/১৭০৪২০২১