আইকন নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
এনজিও সংস্থা ঢাকা আহছানিয়া মিশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উখিয়া-টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত প্রায় ৫শতাধিক শিক্ষিকার চলতি বছরের জানুয়ারি মাস মাস থেকে বেতন বন্ধ রেখেছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা আহসানিয়া স্কুল (ডাম) এর কর্মরত শিক্ষিকা পারুল (ছদ্মনাম) বলেন, বেতন বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। বেতন পাবার আশায় এখন বিভিন্ন জন থেকে ধার, কর্জ করে, অতি কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছি গত চারমাস ধরে। বাসা ভাড়া বাকি রয়েছে চার মাসের। বাসার পাশের মুদি দোকানের মাসিক বাকিগুলো না দিতে পারায় অনেক লজ্জা, শরম লাগছে। অধিকন্তু, মুদি দোকানদার পূর্বের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আর বাকি দিতে চাচ্ছে না। পবিত্র রমজানের হালকা পাতলা বাজারও করতে পারিনি, কোনমতে খেয়ে না খেয়ে রোজা রাখছি। লগডাউনে বাড়িতে চলে যাব সেই উপায়ও নাই। আমরা মারাত্মক অনিশ্চয়তায় কালাতিপাত করছি।
ডাম স্কুলের অন্য শিক্ষিকা ইয়াসমিন জানান, করোনার সময়ও তারা রোস্টার অনুযায়ী স্কুল চালিয়েছেন। আমাদের দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের পড়িয়েছেন। পারিবারিক আর্থিক সমস্যার কারণে গত ২বছর ধরে ঢাকা আহছানিয়া মিশনে চাকরি করছি, প্রত্যেকমাসে বেতন ঠিক মত পেলেও গত জানুয়ারি থেকে তাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই বেতন বন্ধ করে দেওয়ায় চার মাস ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছি আমরা।
বেতন বন্ধের কারণ জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের পিও শিপন বলেন, বেতনের ব্যাপারে আমার কোনো কিছু করার নেই, আমি গত ১মাস ধরে ছুটিতে আছি। আপনি উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেন।
২২এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ঢাকা আহছানিয়া মিশনের ঘুমধুম ভুট্টুর বিল্ডিংস্থ প্রজেক্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায় অফিস তালাবদ্ধ রয়েছে। টেকনিক্যাল অফিসার মোহাম্মদ আলমগীরের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্কুলে কর্মরত আছেন প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষিকা। তাদের মধ্যে কয়েকজন অত্র প্রতিবেদককে বলেন আমরা ঈদের আগে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস না পেলে সবাইকে একত্রিত করে ডাম অফিস ঘেরাও, মানববন্ধন জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান সহ কঠোর কর্মসূচি দিতে দিতে বাধ্য হব।
আইকন নিউজ টু ডে/আর/২২/০৪/২০২১