আইকন নিউজ ডেস্কঃ
ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে সমুদ্রে জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের পানি বেড়ে কিছু কিছু এলাকায় মেরিন ড্রাইভ প্রায় ছুঁয়েছে। ঢেউয়ের শেষ আচড়টা পড়ছে সোজা মেরিন ড্রাইভ সড়কে। কিছু কিছু এলাকায় সাগরতীরের মাটি ভেঙে পড়েছে।
তবে, এখনো পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়কের কোথাও ক্ষয়ক্ষতির তেমন খবর পাওয়া য়ায় নি।
ইনানী রয়েল টিউলিপ এলাকা থেকে প্রত্যক্ষদর্শী একজন সংবাদকর্মী জানিয়েছেন, বুধবার (২৬ মে) সকাল ৯টা থেকে সাগরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়েছে। সমুদ্রের ঢেউ আচড়ে পড়ছে মেরিন ড্রাইভে। সমানতালে বাতাসও বইছে। বের হওয়া প্রায় কঠিন হয়ে পড়েছে।
পানিতে প্রায় ডুবে গেছে নৌবাহিনীর নির্মিতব্য জেটিঘাট। জলোচ্ছ্বাসের তান্ডবে এলাকায় ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্রের পাড়ের বাসিন্দারা সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন সুপার সাইক্লোন ইয়াসের দিকে। অনেক পরিবার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে ঘূর্ণীঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাবার।
তিনি আরও জানান, সোয়া ৯টার দিকে বৃষ্টি আরম্ভ হয়। এখনো গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে, বাতাসের তীব্রতা খুব বেশি নয়। মাঝে মধ্যে বাতাসের তীব্রতা বাড়তে থাকে।
ইয়াসের আঘাতে এখনও তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবার খবরাখবর না পাওয়া গেলেও সাগরপাড়ের গাইডওয়ালে চড়ছে জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের পানি। কখন কি হয় বোঝা যায় না। সমুদ্রপাড়বর্তী এলাকার মানুষগুলো এক চরম অনিশ্চয়তায় কালাতিপাত করছে।
ইতিমধ্যে ইনানী বড় বটতলীতে ঘূর্ণিঝড় ইয়েসের তাণ্ডবে প্রবল বাতাসে ছিঁড়ে যাওয়া বৈদ্যুৎতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে রকটা গরুর মৃত্যু করুণ মৃত্যু হবার খবর জানা যায়।