সাদিকুর রহমান আজহারীঃ
উনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর , ব্যক্তিগত জীবনে অনেক সফল । লাখ টাকার উপরে বেতন পান , ছেলেমেয়ে , স্ত্রী সবাই বিদেশে সেটেল । দেশে একাই থাকতেন একটা বাড়িতে । করােনায় ফ্লাইট বন্ধে যাওয়া হয়নি স্বজনদের কাছে । একাকী ও নিঃসঙ্গ জীবন করােনাকালীন দুটি বছর কাটাতে কাটাতে ঘরে মৃত অবস্থায় পরে ছিলেন । কাউকে পাশে পাননি মৃত্যুর সময় ।৷৷
কতদিন এভাবে মৃত পরে আছেন বলা মুশকিল । বিদেশে যােগাযােগ করলে তারা ফোন রেখে দেয় । গ্রামের বাড়িতে নেয়া যাবেনা করােনা প্রকোপে । কেউ চাইছেনা এনার লাশ । অথচ তার ছিলাে অঘাদ টাকা পয়সা । আসলে টাকা পয়সা মানুষের সুখ দিতে গিয়ে ব্যক্তিকে কিনে নেয় , তখন সে আর মানুষ থাকেনা । হয়ে যায় সুখী লাশ । মরার আগেই মরে গিয়েছিলেন উনি নিঃসঙ্গতায়…..!
তার জানাজাটা কেমন হবে.. ? কতজন লােক হবে ? কে নিবে এই লাশের দায়িত্ব….. ?
তাই প্রিয় ভাই “”””আপনাকে এখনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে মুসলিম উম্মাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নবাব সলিমুল্লাহ, চিরকুমার হাজী মুহসিন,চিরকুমার ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ),,,,আল্লামা ইকবাল,,,কলকাতা আলিয়ার
প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মাজদুদ্দীন (রহঃ)দের মতো,,, কিছু বিজ্ঞান শিক্ষার প্রজেক্ট করেছেন কি আপনি???
নাকি শুধু এতিম খানা, হেফজ খানা করাকেই
ইসলাম মনে করেন???
স্যার সৈয়দ (রহঃ)এর আলীগড় আন্দোলন আপনার হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে কি???
স্ত্রী সন্তান পরিবারের বাইরে কাজ করাকে যারা লস প্রজেক্ট মনে করেন৷৷৷
ইসলামী উম্মার সুরক্ষা প্রসঙ্গ নিয়ে আড্ডা করাকে যারা জঙ্গীবাদ এমনকি ভদ্রতা সুশীলতা বিরোধী মনে করেন৷৷৷
কুটি টাকার সম্পদ মেয়ে ছেলের নামে লিখে
দিলেও স্যার সৈয়দ (রহঃ) এর আলীগড় আন্দোলনের জন্য এক চিলতে জমি ওয়াকফ
করতেও কিপ্টিমি আসে৷৷৷৷
অথচ নাস্তিক হিন্দু ও ইহুদীরা, নিজদের জাতিকে প্রতিষ্ঠার জন্য সমানে জমি ওয়াকফ করে দেয় মৃত্যুর আগে৷৷মুসলিমদের আলীগড় ও হাজী
মুহসিন ওয়াকফ ফান্ড প্রতিষ্ঠা নিয়ে আড্ডা করে,
কত রাত বিনা ঘুমে পার করে??? ইহুদিরা এজন্য
প্রতিষ্ঠা করেছে ফ্রীমেন্স ক্লাব৷৷৷
তা না করে অনেক সুশীলরা দেখি মাজার পূঁজারী
ও সালাফী গোমটা শায়খদের উসকানীতে ছোট খাটো মাসলার ব্যাস্ত থাকা ৷৷জেনা বন্ধের নামে বাল্য ও দারিদ্র বিয়ের উসকানি,,,,৷আমীন আস্তে না জোরে? মিলাদ কেয়াম
জায়েজ কিনা??? ইত্যাদি বেহুদা ফেতনা করাকে
ইসলাম মনে করেন৷৷৷৷৷
কেয়ামত কত দূর??????