আইকন নিউজ ডেস্কঃ
মহান আল্লাহ তাঁর প্রতিটি সৃষ্টজীবের রিযিক প্রত্যেক সৃষ্টের পুর্বেই নির্ধারন করেই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তাই বলে হাত গুঠিয়ে বসে থাকলে তো হবে না, রিজিক যেমন অর্জনে সচেষ্ট হতে হবে, ঠিক তেমনি যিনি রিজিক দেন তাঁকেও তালাশ করতে হবে।
রিযিক এর টেনশান আপনার না। যে রব আপনাকে পাঠিয়েছেন বরং উনিই রিযিক দিবেন। কারণ, আপনি উনার দায়িত্বেই আছেন। যে রব আপনি মায়ের গর্ভে থাকা অবস্হায় কি খাবেন, কেমনে থাকবেন? এই সবের ব্যবস্হা করতে পারেন। সেই রব আপনি বড়ো হবার পর বুঝি আপনাকে পর করে দিবেন ? কখনও-ই না!
বরং আপনি যদি তার একটু বাধ্য থাকেন একটু যদি তার গোলামি করেন তাহলে তিনি আপনাকে এমন দিবেন যা কল্পনাও করতে পারবেন না।
যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন….
‘আপনি রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান। আর মৃত থেকে জীবিতকে বের করেন এবং জীবিত থেকে মৃতকে বের করেন। আর যাকে চান বিনা হিসাবে রিয্ক দান করেন’। সুরা আল ইমরান-আয়াত ২৭। আল্লাহ পাক আরও বলেন, ‘আকাশে রয়েছে তোমাদের রিয্ক ও প্রতিশ্রুত সব কিছু’। সুরা যারিয়াত আয়াত ২২।
রিযিক কাকে কতটুকু দিতে হবে আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন । তবে আপনি অধিক রিযিক আল্লাহর কাছে চাইতে পারেন ।
“আর আল্লাহ (মানুষের রিযিক) কমান ও বাড়ান এবং তাঁর দিকেই তোমরা ফিরে যাবে।” (সূরা বাকারাহ ২:২৪৫)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা তার জীবন ও উপকরণ বর্ধিত করেন এবং সংকুচিত করেন।” রা‘দ ২৬
“তবে যিনি যতটুকু রিযিকের উপযুক্ত তাকে তিনি ততটুকই রিযিক দিয়ে থাকেন। অন্যথায় জমিনে ফাসাদ সৃষ্টি হবে”। সূরা শুরা ২৭।
অতএব রিযিক দেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। তাই তাঁর কাছে রিযিক চাইতে হবে। রিযিক শুধু ধন-সম্পদের ভিতর সীমাবদ্ধ নয়, বরং জীবন থেকে মরণ পর্যন্ত যা কিছু রয়েছে সবই রিযিকের শামিল।
সেজন্য বলা হয়ে থাকে, রিযিক আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত ও নির্ধারিত। সুতরাং রিযিকের তালাশ না করে রিযিকের মালিকের তালাশ করুণ।