আইকন নিউজ ডেস্কঃ
রিজিক এর পেছনে না দৌঁড়িয়ে, রিজিক দাতার দিকে দৌঁড়ালে রিজিক নিয়ে চিন্তা করতে হয়না। প্রত্যেক সৃষ্ট জীবের রিজিকের দায়িত্ব উনার হাতেই অর্পিত। এই কথাটি সেই মহান স্বত্তা খাইরুন রাজেক্বীন আল্লাহতায়ালার অমীয় বাণী।
রিজিকের সর্বনিম্ন স্তর : ‘টাকা, সম্পদ।’
সর্বোচ্চ স্তর : ‘শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা।’
সর্বোত্তম স্তর : “পুণ্যবান স্ত্রী ও পরিশুদ্ধ নেক সন্তান।”
পরিপূর্ণ স্তর : ‘মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।’
রিজিক খুব গভীর একটি বিষয় যদি আমরা বুঝতে পারি।আমি পুরো জীবনে কত টাকা আয় করবো সেটা লিখিত, কে আমার জীবনসঙ্গী হবে সেটা লিখিত, কবে কোথায় মারা যাবো সেটাও লিখিত।
আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমি কতগুলো দানা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটা লিখিত। একটি দানাও কম না, একটিও বেশি না। ধরেন এটা লিখিত যে আমি সারাজীবনে ১ কোটি টাকা আয় করবো, এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ্ তায়ালা নিয়েছেন।
আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায়ে আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত আমার। যদি ধৈর্য ধারণ করি, আল্লাহ্ তায়ালার কাছে চাই, তাহলে হালাল উপায়ে ওই ১ কোটি আয় করেই আমি মারা যাবো, হারাম উপায়ে হলেও ওই ১ কোটিই… নাথিং মোর, নাথিং লেস!
আমি যেই ফলটি আজকে দেশে বসে খাচ্ছি, সেটা হয়ত বিদেশ থেকে ইমপোর্ট করা। ওই গাছে যখন মুকুল হয়েছে তখনই এটা নির্ধারিত যে সেটি আমার কাছে পৌঁছাবে। এর মধ্যে কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে, কত মানুষ এই ফলটি পাড়তে গেছে, দোকানে অনেকে এই ফলটি নেড়েচেড়ে রেখে গেছে, পছন্দ হয় নি, কিনে নি। এই সব ঘটনার কারণ একটাই, ফলটি আমার রিজিকে লিখিত। যতক্ষণ না আমি কিনতে যাচ্ছি, ততক্ষণ সেটা ওখানেই থাকবে। এর মধ্যে আমি মারা যেতে পারতাম, অন্য কোথাও চলে যেতে পারতাম, কিন্তু না। রিজিকে যেহেতু লিখিত আমি এই ফলটি না খেয়ে মারা যাবো না।
.
রিজিক জিনিসটা এতোটাই শক্তিশালী!
কিংবা যেই আত্মীয় কিংবা বন্ধু-বান্ধব আমার বাসায় আসছে, সে আসলে আমার খাবার খাচ্ছে না। এটা তারই রিজিক, শুধুমাত্র আল্লাহ্ তায়ালা আমার মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। হতে পারে এর মধ্যে আমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ্…
.
কেউ কারোটা খাচ্ছে না, যে যার রিজিকের ভাগই খাচ্ছে।
আমরা হালাল না হারাম উপায়ে খাচ্ছি সেটা নির্ভর করছে আমি আল্লাহ্ তায়ালার উপর কতটুকু তাওয়াক্কুল আছি, কতটুকু ভরসা করে আছি।
আল্লাহ তা’আলা বলেন :
“দুনিয়ায় বিচরণকারী এমন কোনো প্রাণী নেই, যার রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপর নেই। তাদের স্থায়ী এবং অস্থায়ী অবস্থানস্থল সম্পর্কে তিনি অবহিত। সব কিছুই একটি সুস্পষ্ট কিতাবে লেখা আছে।”
—(সুরা হুদ : আয়াত ৬)
“যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য কোনো না কোনো পথ বের করে দেবেন। আর তাকে (এমন উৎস থেকে) রিজিক দেবেন যা সে ধারণাও করতে পারবে না।”
—(সুরা ত্বালাক : আয়াত ২-৩)
আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে সঠিক পথে রিজিক তালাশের তৌফিক দান করুন, আমীন।