অন্য অঞ্চলের এক হুজুর
নদীর পাড় দিয়ে হেঁটে
যাচ্ছিলো। হঠাৎ চোখ পড়লে।
নদীর কলস ভর্তি পানি তুলছে
এক সুন্দরী যুবতী।
:
হুজুর যুবতীর কাছে গিয়ে
জিজ্ঞাসাঃ মা, জননী
আপনাকে একটা কথা
জিজ্ঞাসা করবো?
:
যুবতীঃ কি জিগাইবেন?
জিগান।……।
:
হুজুরঃমা, আমি শুনছি
মহিলাদের এমন শক্তি,
কৌশল ও ছলনা আছে,,
তা দিয়া বাদশারে ফকির,
বীরকে ভীরু,
আলেমকে জাহেল,
পাথরকে মোম
বৃদ্ধকে যুবক বানাইয়া
ইচ্ছা মত খেলতে পারে।
এইডা কি সত্য?
:
হুজুরের কথা শুনে যুবতী
কলসটা ডাঙ্গায় রেখে,
চুলগুলো এলোমেলো করে
চিৎকার করে বললোঃ
আমারে বাঁচাও,
আমারে বাঁচাও………………।.
:
মেয়েটির চিৎকার শুনে
গ্রাম্যাসীরা বল্লম,লাঠিসোঠা
নিয়ে দৌঁড়ে নদীর পাড়ে দিকে
আসছিলো। হুজুর এই দৃশ্য
দেখে কাঁদতে কাঁদতে বললোঃ
মা, জননী
আমিতো আপনারে কোনো
খারাপ কথা কৈ নাই।
ওরা আমারে মাইরা ফালাইবু।
আপনি বাঁচান গো জননী।
:
যুবতী তাড়াতাড়ি হুজুরকে টান
দিয়ে নদীতে ঝাপ দিলো।
তারপর মেয়েটি হুজুরকে নিয়ে
পাড়ে উঠে কাঁদতে কাঁদতে
গ্রামবাসীকে বললোঃ আমি গাঙ্গে
পানি লাওনের সময়। রাক্ষুস আমার
পা ধইরা টানবার লাগছিলো।
হুজুর আমার চিৎকুর হুইন্না।
সুরা পড়তে পড়তে
ঝাপ দিয়া আমারে ডাঙ্গায় তুলছে।
হুজুর না থাকলে রাক্ষুস আমারে
খাইয়া ফালাইতো।
গ্রামবাসীরা হুজুরকে কাঁধে তুলে
নাচঁতে নাচঁতে গ্রামে চক্কর মেরে
খাসি জবাই করে আনন্দ উৎসব।
হুজুর মনে মনে বলছেঃ অক্ষন
বুঝার পারছি আদম (আঃ) গন্ধম
খাইছিলো ক্যারে?