আইকন নিউজ ডেস্কঃ
উখিয়া টেকনাফসহ কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাংসের বাজারে আগুন।উখিয়া টেকনাফের প্রায় প্রতিটি বাজারে মহিষের মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা ও গরু মাংস ৮০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয়দের মধ্যে অধিকাংশ ক্রেতা গবাদি পশুর মাংসের বদলে মুরগি কিনছে প্রতিনিয়ত।সূত্র জানায়, গত আট মাস ধরে মিয়ানমার থেকে গরু আমদানি না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এছাড়াও ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা ভোক্তা বেড়ে যাওয়ায় কক্সবাজার অঞ্চলে গরুর মাংসের কেজি দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৮শ’ টাকা। এমনকি হাড় বিক্রি হচ্ছে চারশ’ টাকা কেজিতে। মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু আমদানি না হওয়ায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। খামারিদের উন্নতি ও তাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার প্রত্যাশায় মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু আমদানি বন্ধ করা হলেও কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেননা দক্ষিণাঞ্চলে কোন ধরনের খামার নেই। উখিয়া টেকনাফে রয়েছে ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। যারা প্রতিনিয়ত ভাগ বসাচ্ছে স্থানীয়দের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপর। বর্তমানে গরু-মহিষের প্রতি কেজি মাংস বিক্রি হচ্ছে আটশ’ টাকায়।
উখিয়া টেকনাফের সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমান বদি অত্র প্রতিবেদককে জানান, মিয়ানমার থেকে গরু আমদানি হলে কসাইরা তেমন লাভ করতে পারেনা। গলাকাটা বাণিজ্য চলে না ওই কসাইদের।কারণ, মিয়ানমার থেকে গরুর চালান আসলে স্বল্পদামে গবাদিপশু কিনে ভোক্তাদের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করতে হয় বিধায় কিছু কসাই কতিপয় খামারির সঙ্গে গোপন আঁতাত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু আমদানি বন্ধ করিয়েছে, যা সত্যিই দুঃখজনক। গবাদি পশু ব্যবসায়ীরা জানান, টেকনাফের শাহ্পরীর দ্বীপ করিডর দিয়ে আমদানি হয়ে আসা গরু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ করা হয়।