আইকন নিউজ ডেস্কঃ
মিয়ানমার থেকে উখিয়া টেকনাফের সীমান্ত পার হয়ে জল ও স্থল পথে দেশে আসে ইয়াবার বড় বড় চালান। তেমনি একটি চালান মজুত করা হয় কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে। সেগুলো কৌশলে নেওয়া হচ্ছিল কক্সবাজার কলাতলী এলাকার একটি হোটেলে। রোহিঙ্গা শিবির থেকে কক্সবাজারে নেওয়ার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমনই একটি ইয়াবার চালান জব্দসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে উখিয়া থানা-পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উখিয়ার মরিচ্যা গরুবাজার এলাকায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার ইয়াবা জব্দের পাশাপাশি আশ্রয়শিবিরের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও রোহিঙ্গা আবু ছৈয়দকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আবু ছৈয়দের নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি দল ইয়াবা নিয়ে উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয়শিবির থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গরুবাজার সড়ক হয়ে কক্সবাজার শহরের দিকে যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মরিচ্যা গরুবাজার এলাকায় আগেই অবস্থান নেয় পুলিশ। ওই অটোরিকশাটি আটকে পুলিশ পেছনের সিটে বসা আবু ছৈয়দকে আটক করলেও অন্য চার যাত্রী দৌড়ে জঙ্গলে পালিয়ে যান। তখন পুলিশ ছৈয়দের দেহ তল্লাশি করে দেড় কোটি টাকা মূল্যের ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে। আবু ছৈয়দ কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের সি ব্লকের ১ নম্বর শেডের বাসিন্দা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবু ছৈয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ আরও জানায়, আশ্রয়শিবির থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে তাঁরা পাঁচজন অটোরিকশার যাত্রী সেজে কক্সবাজার শহরে যাচ্ছিলেন। কলাতলী সৈকতের একটি হোটেলে ইয়াবার চালান পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। পালিয়ে যাওয়া চারজনের শরীরেও ইয়াবা ছিল। এর আগেও আশ্রয়শিবিরের থেকে অটোরিকশায় তাঁরা একাধিকবার ইয়াবার চালান কক্সবাজার সৈকত এলাকার বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে পৌঁছে দিয়েছেন, কখনো ধরা পড়েননি।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার আবু ছৈয়দের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা বাজার ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে অটোরিকশা থেকে পালিয়ে যাওয়া দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন মরিচ্যাবাজারের শাহেব মিয়া ওরফে নয়ন (২৪) ও মো. আকরাম (১৯)। পলাতক অন্য দুজনকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
থানা-পুলিশ জানায়, ইয়াবা চোরাচালান মামলায় জড়িত পাঁচজনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ইয়াবা চোরাচালানের মূল হোতাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালাবে পুলিশ। রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করবে পুলিশ।