ঢাকাবুধবার , ১৪ জুন ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার মাধ্যমেই দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ধাপ উত্তরণ সম্ভব

admin
জুন ১৪, ২০২৩ ৩:৪৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

।। এম আর আয়াজ রবি।।
টেকসই উন্নয়ন মূলত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে গৃহীত একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা। উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সেসব উন্নয়ন কর্মকান্ড যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে ঘাটতি বা বাঁধার কোন কারণ হয়ে না দাঁড়ায়, সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রেখে পরিকল্পিত উন্নয়নই হল টেকসই উন্নয়ন বা Sustainable Development Planning or Goal .
মানুষকে ঘিরেই পরিবেশ-প্রকৃতি ও সমাজের সৃষ্টি। তাই প্রকৃতির সাথে ভারসাম্য রেখেই মহান আল্লাহতায়ালা মনুষ্য জাতিকে সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনের তিনি বলেছেন-‘ তিনি (আল্লাহ) পৃথিবীর সবকিছু তোমাদের (মানুষের) জন্য সৃষ্টি করেছেন; তারপর তিনি আকাশের দিকে মনোসংযোগ করেন এবং তাকে ( আকাশকে) সাত আকাশে বিন্যস্ত করেছেন; তিনি সব বিষয়ে সবিশেষ অবহিত’। ( সুরা বাক্বারা, আয়াত-২৯)
তাই পরিবেশ ও প্রকৃতির সাথে মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে সু-সম্পর্ক স্থাপন করেই জীবন যাপন করতে হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মানুষ প্রকৃতির সাথে বিরুপ আচরণের মাধ্যমে সুন্দর পৃথিবীকে বসবাসের অযোগ্য করে গড়ে তুলছে প্রতিনিয়ত। এর বাস্তব ফলাফল ইতিমধ্যে আমরা ভোগ করতে চলেছি। তারই ফলশ্রুতিস্বরুপ প্রকৃতিতে ঋতুচক্রে, আবহাওয়া, জলবায়ু্তে অস্বাভাবিক আচরণ করছে। ওজোন স্তর হ্রাসের মাধ্যমে গ্রীন হাউজ ইফেক্ট, সুর্যের অতি বেগুনী রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে মানব দেহ, জীব-প্রকৃতির উপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হচ্ছে। বনভুমি উজাড়, প্রাকৃতিক পেরেকখ্যাত পাহাড় বিলীন, প্রাণ ও জৈববৈচিত্র্য আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। দক্ষিণ মেরুর বরফাচ্ছাদিত অঞ্চলসমুহের বরফ গলে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ পরিবেশের মৌল উপাদান মাটি, বায়ু ও পানিকে দুষিত করে তুলছে রীতিমতো। শিল্প-কলকারখানা স্থাপন করে অযাচিতভাবে পরিবেশের মুল উপাদান (মাটি, পানি ও বায়ু)গুলোকে বিষিয়ে তুলছে। প্রকৃতি অস্বাভাবিক আচরণ করছে। সাম্প্রতিককালে আমরা সমুদ্রের গভীরতা হ্রাস কিংবা সমুদ্র স্তর উচুঁ হওয়ার সমস্যার সম্মুখীন।
গত ১০০ বছরে পৃথিবীপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গত দশ বছরে বিশ্বে যত বন্যা, ঝড় ও দাবানল হয়েছে, তার সবই এ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া বা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণেই হয়েছে। বৃক্ষ নিধন, শিল্পকারখানা স্থাপন, দূষণ ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে আবহাওয়ায় এ দীর্ঘস্থায়ী বৈরিতা সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে জনবসতির ওপর প্রতিনিয়ত নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন বন্যা, বজ্রপাত, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি আঘাত হেনেছে।

তাপমাত্রার বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা ১৫ থেকে ৯৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। এতে আবহাওয়া হয়ে উঠবে আরো শুষ্ক, আরো উত্তপ্ত কিংবা কঠিন বরফশীতল এবং বিলুপ্ত হবে বিশেষ প্রজাতির জীব। মানবসমাজও নতুন নতুন রোগ, ঝুঁকি ও দুর্যোগের সম্মুখীন হবে। এরই মধ্যে আবহাওয়ার এ বিপর্যয়ের ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবন দারুণভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে এবং এটি প্রকৃতির জন্যও ভীষণ হুমকিস্বরূপ। গত ১৫ বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিশ্বের সরাসরি অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ৭৮৯ বিলিয়ন ডলার। কাজেই এ বিপর্যয় এড়াতে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ‘জিরো কার্বন’ নিঃসরণের লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। জিরো কার্বন নিঃসরণ সম্ভব হবে যদি সব দেশের সরকারপ্রধান প্যারিস চুক্তির অধীনে করা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে এবং এখনই এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়। একই সঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে এমন আইন বা নীতির প্রবর্তন করতে হবে, যা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার উৎসাহিত করবে এবং এ খাতে বিনিয়োগ বাড়াবে।
এনভায়রনমেন্টাল পারফরম্যান্স ইনডেক্স (ইপিআই)২০২২ অনুযায়ী, ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৭তম, যাতে পরিবেশ দূষণ রোধে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। আইকিউএয়ারওয়ার্ল্ভ্র এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট ২০২১ অনুযায়ী, বায়ুদূষণের বিভিন্ন উপাদানের বার্ষিক গড় উপস্থিতি হিসেবে দূষণের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে এবং দূষিত রাজধানীর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এ দেশের মানুষের মাথাপিছু সম্পদের ভিত্তি কম, ভূমি-জন অনুপাত অতি নিম্ন অন্যদিকে সামাজিক শোষণ ও বঞ্চনার হার সর্বাধিক এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জনগণের জীবন-জীবিকা সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভরশীল। কর্মসংস্থানের জন্য, রাজস্ব আয় ও বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের জন্য একমাত্র উৎস হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ। ৫০ শতাংশেরও বেশী লোকের জীবিকার প্রধান উৎস হচ্ছে কৃষি। কিন্তু কৃষি সেক্টর সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের হুমকির সম্মুখীন। কৃষির টেকসই উন্নয়নের জন্য কাঙ্ক্ষিত পরিবেশগত পরিকল্পনা অপরিহার্য।
জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা বৈশ্বিক লক্ষ্যগুলো হলো ১৭টি আন্তঃসংযুক্ত বৈশ্বিক লক্ষ্যের একটি সংগ্রহ-যা সবার জন্য ভালো এবং আরো টেকসই ভবিষ্যৎ অর্জনের পরিকল্পনা হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। জাতিসংঘ লক্ষ্যগুলো প্রণয়ন করেছে এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে লক্ষ্যগুলোকে প্রচার করেছে।এই ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা কিন্তু প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পরিবেশ সুরক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫-এর ২ (ঘ) ধারা অনুযায়ী, পরিবেশ অর্থ পানি, বায়, মাটি ও ভৌত সম্পদ ও এদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কসহ এদের সঙ্গে মানুষ অন্যান্য প্রাণী, উদ্ভিদ ও অণুজীবের বিদ্যমান পারস্পরিক সম্পর্ককে বোঝায়। আর এ আইনের ২ (চ) ধারা অনুযায়ী, পরিবেশ সংরক্ষণ অর্থ পরিবেশের বিভিন উপাদানের গুণগত ও পরিমানগত মান উন্নয়ন এবং গুনগত ও পরিমাণগত মানের অবনতি রোধকে বোঝায়।

এ ছাড়া পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশে আরো আইন রয়েছে। এগুলো হচ্ছেঃ ক) পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-১৯৯৭, খ) পরিবেশ আদালত আইন-২০১০, গ) ইট প্রস্তুত ও ভাটা (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩, ঘ) শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬, ঙ) ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫, চ) খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান ও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০, ছ) জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন-২০১০, জ) বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২, জীববৈচিত্র্য রক্ষা আইন-২০১৭ প্রভৃতি। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত তহবিল গঠনসহ পরিবেশ সুরক্ষায় এ ধরনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য বর্তমান সরকারের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
কিন্তু পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনায় বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক উপায়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করার পরামর্শ দেয়া হলেও বাস্তবায়ন পর্যায়ে বাংলাদেশে এর উল্লেখযোগ্য প্রতিফলন পরিলক্ষিত হয়নি। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ( এসডিজি) সামনে রেখে বাংলাদেশের অষ্টম বার্ষিক পরিকল্পনা করা হলেও এর আইনগত দিক, প্রশাসনিক দিক ও ব্যবহারিক দিকের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এসডিজি পূরণকল্পে গৃহীত প্রকল্পগুলোর এজেন্ডা নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ অন্যান্য গুরুত্বপুর্ণ কাজে সংশ্লিষ্ট জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, নিয়মিত এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের তথ্যগুলো ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা, নিয়মিত তদারকি করা এবং সর্বোপরি একটি স্বচ্ছ অংশগ্রহণমূলক পরীক্ষিত ও কার্যকর মডেলের আঙ্গিকে তৈরি একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইনের ভিত্তিতে গৃহীত সব সরকারি ও বেসরকারি প্রকল্প পরিচালনা করার মাধ্যমেই কেবল দেশে টেকসই ও প্রকৃতিবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব।

তাছাড়া, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সুচকে পরিবেশগত দিকটার উন্নতির জন্যে নিম্নলিখিত আরো কিছু কার্যকর পদক্ষেপ সুপারিশ করা যেতে পারেঃ
প্রথমতঃ পরিবেশ দূষণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তি, প্রতিষ্টান ও খাতগুলোকে চিহ্নিত করে, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জন, আইন-নীতি প্রণয়ন ও সংশোধন, দক্ষ জনবল তৈরির উদ্দ্যোগ নিতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ভয়, চাপ ও আর্থিক প্রলোভনের ঊর্ধ্বে উঠে দৃঢ়তার সাথে পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী ব্যক্তি, প্রতিষ্টান, উন্নয়ন প্রকল্প এবং শিল্প-কারখানাগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
তৃতীয়তঃ পরিবেশ অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিশেষায়িত জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনবল নিয়োগ, অধিদপ্তরটির প্রাতিষ্টানিক, আইনগত ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অর্পিত দায়িত্ব পালনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে,
চতুর্থতঃ জিরো কার্বন লক্ষ্য অর্জনে জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সাথে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিশেষ প্রণোদনাসহ বিশেষ আর্থিক সুবিধা দিতে হবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ‘কার্বন ট্যাক্স’ আরোপ করতে হবে।
পঞ্চমতঃ প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে পরিবার ও প্রাতিষ্টানিক সব ক্ষেত্রে সম্পদের ব্যবহার হ্রাস, পূনঃব্যবহার ও পূনঃচক্রায়ন নীতি ( 3R principle: Reduce, Reuse & Recycle) বাস্তবায়ন করতে হবে।
ষষ্টতঃ জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশের ক্ষতি রোধ এবং জীবন জীবিকা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় চলমান ঝুকিপূরণ কয়লা ও এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো স্থগিত করে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ কৌশলগত, সামাজিক ও পরিবেশগত সমীক্ষা সম্পাদন সাপেক্ষে অগ্রসর হতে হবে।
সপ্তমতঃ টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে জীববৈচিত্র্য রক্ষা, পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত যেকোন কার্যক্রম/প্রকল্প প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ক্ষতিগ্রস্থ ও ঝুকির সম্মুখীন জনগোষ্টি বিশেষ করে নারী, প্রান্তিক জনগোষ্টি ও আদিবাসীদের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকে গুরুত্ব দিতে হবে।
অষ্টমতঃ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত প্যারিসচুক্তি অনুযায়ী জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও সবধরনের উন্নয়ন কার্যক্রমে প্রাণ ও প্রকৃতির সুরক্ষাকে প্রাতিষ্টানিকভাবে অগ্রাধিকার প্রদানে জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচার নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট নাগরিক সমাজ, বিশেষজ্ঞসহ সব অংশীজনের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
নবমতঃ পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও প্রাণপ্রকৃতি রক্ষাকল্পে দেশে প্রচলিত আইনের বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে হবে। প্রয়োজনে নতুন নতুন আইন করে পরিবেশ রক্ষায় সচেষ্ট হতে হবে।
দশমতঃ সর্বোপরি মাটি, পানি ও বায়ু দূষণে এবং পাহাড় কর্তন, বনভুমি উজাড় ও প্রান-প্রকৃতি রক্ষাকল্পে গণ সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

লেখক: প্রেসিডেন্ট-বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ভাইস প্রেসিডেন্ট- উপজেলা প্রেসক্লাব উখিয়া।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।