উখিয়া প্রেসক্লাবের সম্মানিত সভাপতি এস এম আনোয়ারের ফেসবুকে লেখাটি হুবহু প্রকাশ।
কক্সবাজার জেলার ১৮০ জন ছেলে-মেয়েকে চাকরিচ্যুত করে সরকারি বন্ধের দিন শুক্রবারে ইন্টারভিউ নেওয়ার মাধ্যমে নিয়োগ বানিজ্য করা ফ্রেন্ডশীপ এনজিও’র খুঁটিরজোর কোথায়? বারবার সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাদের কার্যক্রম ও হুংকার দেখলে মনে হয় স্বাধীন বাংলাদেশেও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আগমন ঘটেছে!
ফ্রেন্ডশীপ এনজিও দীর্ঘদিন ধরে রাতে আধারে এবং সরকারি বন্ধের দিন কক্সবাজার জেলার বাহিরের চাকরি প্রত্যাশী লোকজনকে চাকরি দেওয়া প্রলোভন দেখিয়ে ইন্টারভিউ নামক নিয়োগ বানিজ্যের অর্থ আদান প্রদান / দরকষাকষির বৈঠকে নিয়ে আসে।
মেধা বা যোগ্যতার কোন দাম নেই ফ্রেন্ডশীপ নামক এই এনজিওতে। নগদ অর্থ লেনদেন করলেই চাকুরী জুটে কক্সবাজার জেলার বাহিরের ছেলে মেয়েদের। কক্সবাজার জেলার স্থানীয় ছেলে মেয়েদের কপালে জুটে না ফ্রেন্ডশীপ এনজিওর চাকরি। কারন একটাই চাকরী নেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেন এর গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার আশংকা! বরং ফ্রেন্ডশীপ এনজিওতে হাতেগোনা যে কয়েকজন উখিয়া – টেকনাফ তথা কক্সবাজারের স্থানীয় লোকজন চাকরি করে তাদের সুকৌশলে বিভিন্ন অজুহাতে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এসব অবৈধ অপকর্মের সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছেন হেলথ ও এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের কর্মরত এ টু জেড সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী।
চাকরি প্রত্যাশীদের কাজ থেকে আদায়কৃত উৎকোচের টাকা সরাসরি চলে যায় ফ্রেন্ডশীপ এনজিও’র ঢাকা হেড অফিসে। তারপর সেখান থেকে দীর্ঘ সময় পর ইস্যু করা অস্থায়ী নিয়োগ পত্র। যাতে সংক্ষিপ্ত সময়ের নোটিশে চাকরিচ্যুত করা যায়। যতবার নিয়োগ বা ইন্টারভিউ , ততবারই ইনকাম, এই পলিসিতে দারুণ সফলতা পেয়েছে ফ্রেন্ডশীপ এনজিও। জেলা প্রশাসন, আরআরআরসি অফিস ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নিজেদের ইচ্ছে মতো, নিজেদের সৃষ্টি নিয়মে চলে ফ্রেন্ডশীপ নামক এই লুটপাটকারী এনজিও টি।
উখিয়ার বালুখালীতে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা দেওয়ার নামে হাসপাতাল তৈরি করতে গিয়ে হোস্ট কমিউনিটি / স্থানীয় লোকজনের বিপুল পরিমান জায়গা জবর দখল করার অভিযোগও রয়েছে ফ্রেন্ডশীপ এনজিও’র বিরুদ্ধে।
সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করার অভিযোগে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উখিয়া উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান মোটা অংকের জরিমানা ও একাধিকবার সতর্ক করে ছিলো এই ফ্রেন্ডশীপ এনজিওকে। পরবর্তীতেও এই প্রতিষ্টানটি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অনিয়মকে নিয়মের পরিনত করে চলেও রহস্যজনক কারনে স্থানীয় প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এডুকেশন, চিকিৎসা সেবা ও ওয়াশসহ অন্যান্য প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের আড়ালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে ফ্রেন্ডশীপ এনজিও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ যাচ্ছে । পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রীক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীগোষ্ঠী গুলোর সাথে ফ্রেন্ডশীপ এনজিও দায়িত্বশীলদের যোগাযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বরত এপিবিএন এর দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা। তিনি জানান, বিশেষ করে ফ্রেন্ডশীপ এনজিওর এডুকেশন প্রোগ্রাম ও হেলথ প্রোগ্রামের আড়ালে প্রজেক্ট ম্যানেজার / প্রোগ্রাম ম্যানেজারদের তত্বাবধানে এসব রাষ্ট্র বিরোধী কার্যক্রম চলতেছে।
ইতিমধ্যে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা গুলো ফ্রেন্ডশীপ এনজিওর কার্যক্রমের উপর সর্তক দৃষ্টি রাখার পাশাপাশি খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছে।
এদিকে রুমখাঁ বাজারস্থ ফ্রেন্ডশীপ এনজিওর প্রজেক্ট অফিসের ১ম, ২ য় ও ৩ য় তলা অফিসের কাজে ব্যবহার করা হলেও সিনিয়র কর্মকর্তাদের দিবানিশি মনোরঞ্জনের জন্য ৪ র্থ ও ৫ ম তলায় মহিলা স্টাফদের কোয়াটারে থাকতে বাধ্য করে ফ্রেন্ডশীপ এনজিওর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যেখানে বসে রাতে মদ, জুয়া ও নাচ-গানের আসর। ঐসময় তাদের সঙ্গী হয় কক্সবাজার জেলার বাহিরের নারী সহকর্মীরা।
এদিকে ১৮০ জন কক্সবাজার -উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয় লোকজনকে চাকরিচ্যুত করে বহিরাগতদের চাকরি প্রদান ও প্রক্রিয়াধীন নিয়োগ বানিজ্য এবং সরকারি বন্ধের দিন ইন্টারভিউ গ্রহন নামক তামাশা বন্ধ করা না হলে ফ্রেন্ডশীপ এনজিও বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ প্রদান, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ ও প্রজেক্ট অফিস ঘেরাও করার মতো কঠিন কর্মসূচিতে যাবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
ফ্রেন্ডশীপ এনজিও এসব অনিয়ম দ্রুত বন্ধ করতে RRRC Office Cox’s Bazar DC Office, Cox’s Bazar উপজেলা নির্বাহী অফিসার উখিয়া AC Land Ukhiya OC Ukhiya জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।।