আইকন নিউজ ডেস্কঃ
কক্সবাজার ইয়ুথ ক্লাবের উদ্যোগে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে তামাক বিরোধী জোট গঠন করার জন্য এক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়।
শনিবার ( ২৮-অক্টোবর) ইয়ুথ ক্লাবের সভাপতি আবদুর রহিম বাবু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায়, ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। সভায় বক্তারা বলেন ,ধূমপান মৃত্যু ঘটায়-বিষয়টি জেনেও মানুষ নিজ হাতে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। জাতিসংঘের মাদকবিষয়ক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধূমপানের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে ৫০ লাখ মানুষ মারা যায়। এর পরও মানুষ ধূমপান ছাড়তে রাজি নয়।
এই সরাসরি ধূমপানের কথা উল্লেখ না থাকলেও ধূমপান এমন একটি কাজ, যার মাধ্যমে মানুষ নিজ হাতে নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। অনেকে যুক্তি দিয়ে থাকেন, ধূমপান করে সবাই তো আর মারা যায় না। হ্যাঁ, সব ধূমপায়ী ধূমপানের প্রথম পুরস্কার মৃত্যু উপহার না পেলেও এর পরের পুরস্কারগুলো ঠিকই পান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সর্বজনীনভাবে এটি স্বীকৃত যে, ধূমপান যক্ষ্মা, ফুসফুসের ক্যান্সারসহ নানা রোগের অন্যতম প্রধান কারণ।
এ ছাড়া ধূমপানে রয়েছে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি। ধূমপান ত্বকের একদম বাইরের দিকের ধমনীগুলোতে রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয়। ফলে ত্বকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনটুকুও পৌঁছায় না।
যা অল্প বয়সেই মানুষকে বুড়ো বানিয়ে দেয়। এ ছাড়া সিগারেটের তামাকে থাকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, যা মানুষের ত্বকের এলাস্টিন এবং কোলাজেনকে নষ্ট করে দেয়। সে কারণেই ধূমপায়ীদের ত্বকে বলিরেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
সিগারেটের নিকোটিনের কারণে দাঁতের ঝকঝকে সাদা রং পালটে হলদেটে হয়ে যায়। ধূমপানের ফলে চুলেরও ক্ষতি হয়।
ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশেই জনসম্মুখে প্রকাশ্যে ধূমপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কারণ এর দ্বারা অধূমপায়ী ও শিশুদের যেমন কষ্ট হয়, তেমনি তারাও পড়ে যান স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। কক্সবাজার পৌরসভার সকল মানুষ কে ধুমপান বিরোধী জোটে সম্পৃক্ত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেলপ কক্সবাজার এর নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম বক্তব্য রাখেন মোঃ হোসেন সুমন, নাজিম উদ্দিন বিশাল, শাহিদা আক্তার,সাইমন আক্তার ইমাম, শিরীন আখতার,আজিমা আক্তার ইমা ইসমিকা বাহাদুর প্রমি, শারমিন আক্তার,আখি আক্তার, আফরোজা আমিন রেশমী, নাদিয়া আক্তার লিপ ও আসমাউল হুসনা প্রমূখ। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো সদস্য বিশিষ্ট একটি কক্সবাজার তামাক বিরোধী জোট গঠন করা হয়।