ঢাকাশনিবার , ১১ নভেম্বর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্বপ্নের দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন আজ

admin
নভেম্বর ১১, ২০২৩ ৩:১৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

।। এম আর আয়াজ রবি ।।

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হতে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মাধ্যমেই কাল সেই স্বপ্নের আখ্যান শুরু হতে যাচ্ছে। দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থকেবে।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেন পথ ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে দোহাজরি পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার পথ বৃটিশ আমলে তৈরি। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটি হাতে নেয় বর্তমান সরকার। এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার বিবেচনায় গৃহীত একটি মেগা প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় সংস্কার করা হয়েছে শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু। এ প্রসঙ্গে
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন জানান, ‘২০১৮ সালের জুলাইয়ে দোহাজারি থেকে কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণে মেগা প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই মেগা প্রকল্পে ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার’।

তইনি আরো যোগ করেন, ‘দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিমি, রামু থেকে কক্সবাজার ১৪ কিমি রেলপথ নির্মাণ হয়েছে। রেলপথে স্টেশনের সংখ্যা থাকছে ৯টি। এগুলো হলো- সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়ার সাহারবিল, ডুলাহাজারা, ঈদগাও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুম। এতে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম থাকবে ৯টি, ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম থাকবে ৯টি। সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে সেতু। এ ছাড়া ৪৩টি ছোট সেতু, ২০১টি কালভার্ট, সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া এলাকায় একটি ফ্লাইওভার, ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং এবং রামু ও কক্সবাজার এলাকায় দুটি হাইওয়ে ক্রসিং রয়েছে’।

চট্টগ্রাম নগরী থেকে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পর্যন্ত ইতিপুর্বে সেই বৃটিশ আমল থেকেই রেললাইন রয়েছে। সেই রেললাইন এখন সম্প্রসারিত হয়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজার পর্যন্ত পৌছে গেছে। ১১-নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্টানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রাম তথা কক্সবাজারবাসীর অনেক দিনের লালায়িত স্বপ্নের বাস্তব রুপলাভ করতে যাচ্ছে কাল। ইতিমধ্যে আনুষ্টানিক উদ্বোধনের যাবতীয় কর্মকান্ড সু-সম্পন্ন ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে চলছে সাজ সাজ রব। কক্সবাজারের মানুষ কালজয়ী ইতিহাসের অংশ হিসেবে আগামী কালের প্রধানমন্ত্রীর রেল লাইনসহ আইকনিক ঝিনুক আকৃতির রেল স্টেশন উদ্বোধণের মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায়।

দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইন চালু হলে যেমনি গতি বাড়বে দেশের অর্থনীতির চাকার, তেমনি তুলনামূলক চাপ কমবে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের ওপর। ফলে কক্সবাজারের পর্যটনশিল্প ও অর্থনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। কারণ তখন সহজেই কক্সবাজারে পর্যটকের আগমন বাড়বে। চাঙা থাকবে পর্যটন ব্যবসা, নতুন করে বাড়বে স্থানীয় কর্মসংস্থান। পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ে নেটওর্য়াকের আওতায় আনতে, পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন এবং সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষিজ দ্রব্যাদি পরিবহনে কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সউত্রে জানা যায়, প্রকল্প অনুমোদনের ১ বছর পর শুরু হয় দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮কিমি, রামু থেকে কক্সবাজার ১২কিমি। প্রায় ১০০ কিঃমিটারের রেললাইনে থাকবে ৯টি ষ্টেশন। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার যেতে সময় লাগবে ১ ঘন্টা ১০ মিনিট। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে হচ্ছে ঝিনুক আকৃতির নান্দনিক রেল ষ্টেশন। সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর উপর হচ্ছে তিনটি বড় সেতু। সাতকানিয়ার কেওচিয়ায় হচ্ছে উড়াল সেতু।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইনের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী কাল উদ্বোধনের মাধ্যমেই দোহাজারী–কক্সবাজার লাইনে পরীক্ষামূলকভাবে রেল চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
তিনি আরো যোগকরে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী কালের উদ্বোধনের মাধ্যমে আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে এই ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে। এটি পুরো দেশের মানুষের কাছে স্বপ্নের প্রকল্প।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো: সুবক্তগীন বলেন- দোহাজারী-কক্সবাজার নতুন রেলপথ প্রকল্প শনিবার (১১ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। এজন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের অধীনে ১০২ কিলোমিটার রেল ট্র্যাক বসানো হয়েছে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথে ৩৯টি ব্রিজ এবং আন্ডারপাস সহ ২৫১টি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। কক্সবাজারে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক স্টেশন সহ নয়টি স্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ। এছাড়াও চুনতি এলাকায় একটি আন্ডারপাসের ওপর দিয়ে হাতি চলাচলের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি জানান- গত ২০১০ সালে ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। ২০১১ সালের ০৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেগা প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে টেন্ডার হলে দোহাজারি-চকরিয়া এবং চকরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনসট্রাকশন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পায়। কার্যাদেশ
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পথে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ট্রেন চলাচলের সময় এখনও চুড়ান্ত হয়নি। এর আগেই নতুন রুটে ভাড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম মো. নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন- চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন শহর কক্সবাজারে ট্রেনে করে যেতে লাগবে সর্বনিম্ন ৫৫ টাকা আর সর্বোচ্চ ৬৯৬ টাকা। শোভন চেয়ারে (নন-এসি) বসে যেতে দিতে হবে ২০৫ টাকা। নতুন নির্মিত এই রেললাইনে ট্রেনের ভাড়া বাসের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম হবে। অনেক ক্ষেত্রে বাসের তুলনায় অর্ধেকেরও কম হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন- চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেনের ভাড়া ঠিক করা হয়েছে। রেলওয়ের মার্কেটিং শাখা থেকে ৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনে ভাড়া চূড়ান্ত করা হয়। তবে এই রুটে কয়টি ট্রেন চলবে, কোন সময়ে চলবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। রেল ভবনের নির্দেশনা পেলে তা ঠিক করা হবে।
তিনি বলেন- চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে দোহাজারী পর্যন্ত আগে থেকেই রেললাইন আছে। ২০১৮ সালে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। নতুন নির্মিত রেললাইন ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই রেললাইনে মিটারগেজের পাশাপাশি ব্রডগেজ ট্রেনও চলাচল করতে পারবে। এই ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। নতুন রেললাইনে ৯টি স্টেশন রয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে ঝিলংজা ইউনিয়নের প্রায় ২৯ একর জায়গাজুড়ে ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন রেল স্টেশনটি এখন দৃশ্যমান। ঝিনুকের আদলে নির্মিত হয়েছে এই স্টেশন। আইকনিক এই রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, নান্দনিক ডিজাইন আর নির্মাণশৈলীতে গড়ে উঠেছে স্টেশনটি। চারদিকে বসানো হয়েছে গ্লাস। ছাউনিটা পুরো কাঠামোকে ঢেকে রেখেছে। ওপরের ছাদ খোলা থাকায় থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। দিনের বেলা বাড়তি আলো ব্যবহার করতে হবে না এই রেলস্টেশনে। ফলে সবসময় ভবনটি সহনীয় তাপমাত্রায় থাকবে। স্টেশনটির ছাদ ঝিনুক আকৃতির। সামনে বসানো হয়েছে ফোয়ারা। সেখানে বসানো হচ্ছে মুক্তা। ৬টি লিফট ও ২টি চলন্ত সিঁড়ি স্থাপনের কাজ শেষ করছেন শ্রমিকরা।
সুবিশাল এই চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে উঠে দোতলা থেকে নামতে হবে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে। আর আসার যাত্রীরা বের হবেন নিচ থেকে।
দোহাজারী–কক্সবাজার রেলওয়ে প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার মো: আবদুল জাবের মিলন বলেন, আইকনিক এই স্টেশনটি নির্মাণের সময় চীন, বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড, ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন আধুনিক স্টেশনের সুযোগ–সুবিধা বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। পুরো প্রকল্পটিতে ১১০জন বিদেশীসহ মোট ২৫০ জন প্রকৌশলী এবং শ্রমিকসহ মিলে মোট ছয় শতাধিক লোকের চার বছরের শ্রমে আইকনিক রেলস্টেশন ভবনটি আজ দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। এশিয়ার প্রথম শতভাগ পর্যটনবান্ধব কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ছয় তলা বিশিষ্ট স্টেশনটির সম্পূর্ণ ফ্লোর এরিয়া ১ লাখ ৮৭ হাজার বর্গফুট করে। রয়েছে পর্যটকদের জন্য সব ধরনের সুযোগ–সুবিধা। শুধু এই আইকনিক রেলস্টেশন নয়, এই প্রকল্পের আওতায় আরো ৮টি স্টেশনের মধ্যে তিনটির কাজ শেষ। অবশিষ্ট ৫টির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দিকে পরের স্টেশনটি রামু স্টেশন। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে ইসলামাবাদ, ডুলাহাজারা, চকরিয়া, হারবাং, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া ও দোহাজারী রেলওয়ে স্টেশন। এসব স্টেশনে থাকছে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম এবং ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম। চট্টগ্রামের দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইন, যা ছিল চট্টগ্রামবাসীর জন্য স্বপ্নের মতো। এখন এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে।

রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প এবং আইকনিক স্টেশন ভবন পরিদর্শন করেছেন। প্রকল্পের উদ্বোধন সম্পর্কে তিনি সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনাও প্রদান করেছেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে ট্রেনে করে আসার জন্য সারাদেশের মানুষ ভীষণ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে। এই রেল পথ পর্যটন শিল্পে আমুল পরিবর্তন আসবে।
মন্ত্রী বলেন- ‘আমাদের সকলের জন্য গর্বের একটা বিষয় কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশন বিল্ডিং। এরকম অনন্য স্থাপনা অন্য কোথাও নেই। ঝিনুকের আদলে তৈরি স্টেশনটিতে আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি ক্যান্টিন, লকার, গাড়ি পার্কিং ইত্যাদি ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। পর্যটকরা স্টেশনের লকারে লাগেজ রেখে সারাদিন সমুদ্র সৈকতে বা দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে পারবেন। এই স্টেশন দিয়ে দিনে ৪৬ হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারবেন।’

পর্যটন নগরী কক্সবাজার, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। তাছাড়া পাহাড়, সমতল, অরণ্যাদি ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটনের এই তীর্থভুমি। তাই সারা বছর দেশী–বিদেশী পর্যটকে মুখরিত থাকে কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলো। পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করেই কক্সবাজারের অগ্রগতি, উন্নয়নের অভিযাত্রা। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হতে যাচ্ছে। দেশের পর্যটন শিল্প ও অর্থনীতির বিকাশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ঢাকা–চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারে ট্রেন যোগাযোগ পুরোপুরি চালু হলে কক্সবাজার পর্যটন খাত ও অর্থনীতির চাকা সচল থাকবে নিঃসন্দেহে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।