ঢাকাবুধবার , ১১ জানুয়ারি ২০২৩

বিশুদ্ধ দেশপ্রেমে উদবুদ্ধ হয়েই আমরা পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন করছি-কক্সবাজারে পরিবেশ বিজ্ঞানী ডঃ নজরুল ইসলাম। ।। এম আর আয়াজ রবি।। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্দ্যোগে পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৮-জানুয়ারী), কক্সবাজার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাপা কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি, কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সম্মানিত সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী ও বাপা কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ কলিমুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পরিবেশবিজ্ঞানী, জাতিসংঘের রিচার্স বিভাগের বাংলাদেশের প্রধান, বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক ( বেন) এর প্রতিষ্টাতা সভাপতি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডঃ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাপা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল ও পরিবেশ সমাবেশ জাতীয় প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আলমগীর কবির। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেন (BEN) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাপা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি ডঃ নজরুল ইসলাম বলেন, ২০০০ সালের ১৩ জানুয়ারীতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ( বাপা) এর অগ্রযাত্রা শুরু হয়। হাঁটি হাঁটি পা পা করে অত্যন্ত সফলতার সাথে বাপা আজ ২৩ টি বছর অতিবাহিত করেছে। বাপার ঝুড়িতে আজ অনেক অনেক অর্জন। আমরা সরকারের বা কোন দপ্তর বা বিভাগের কাজ করতে পারি না। আমরা যে কোন সংস্থা, বিভাগ বা দায়িত্বশীলদের দায়িত্ব পালনে কোন প্রকার ব্যত্যয় ঘটলে তা তুলে ধরার চেষ্টা করি। প্রয়োজনে আমরা জোর কাটাই, আন্দোলন সংগ্রাম করি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, প্রকৃতি রক্ষার জন্য, সুষম উন্নয়নের জন্য। পরিবেশের মৌলিক তিনটি উপাদান – মাটি, পানি ও বায়ু দুষনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে। আমরা নদী দুষণ, পানি দুষণ, বনভুমি রক্ষা, পাহাড় রক্ষা, প্রাকৃতিক জলজ, উদ্ভিদ, জীব বৈচিত্র্য রক্ষা কল্পে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে ঢাকা শহরে অতিরিক্ত সীসাযুক্ত বাতাস রোধ করতে সকঝম হয়েছি। স্কুটারের কালো ধুয়া থেকে পরিবেশ রক্ষা, পলিথিন ব্যবহারে সতর্কতা, প্রাকৃতিক নদী, খাল, ছরা প্রভৃতি রক্ষার কাজে আমরা অনেকটা সফল হয়েছি। বাঁকখালী খাল দখল মুক্ত করা, মহেশখালীর কোহেলিকা নদীকে রক্ষা করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা নদী রক্ষার জন্য, বনভুমি৷ পাহাড়, সমুদ্র রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বিশুদ্ধ দেসহপ্রেমে ব্রতী হয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাংখিত আবাস স্থল হিসেবে মাতৃভুমি তথা পৃথিবী গড়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রধান অতিথি বলেন, আমরা সরকারকে কয়লা ভিত্তিক ১০ টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাছাই করে কয়লার পরিবর্তে গ্যাসে পরিচালনা করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কারন কয়লা পুড়িয়ে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়, গ্যাসের সাহায্যে তা লাঘব হয়ে পরিবেশের উপর তেমন প্রভাব ফেলে না। সরকার উক্ত প্রজেক্টগুলো নেবার সময় পরিবেশের বিরুপ প্রভাবের চিত্র সঠিকভাবে মুল্যায়ন করেন না বিধায় প্রথম দিকেই সরকার অনেক খরচ করে ফেলেছিল বলেই আমরা কয়লার পরিবর্তে গ্যাসের দিকে যাবার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি আগামী ১৩-জানুয়ারি ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্টিতব্য বাপা’র জাতীয় সমাবেশে যোগ দেবার আহবান জানিয়েছেন। বিভিন্ন বক্তারা পরিবেশের সামগ্রীক অবক্ষয় দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিকে ম্লান করে দিচ্ছে বলে হুসিয়ারী উচ্চারণ করেন। তাই পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিবৃন্দ, কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত বাপার দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ প্রমূখ।